ইউরোপ ছেড়ে পর্তুগিজ সুপারস্টার ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদো ঠিকানা গড়েছেন মধ্যপ্রাচ্যের দেশ সৌদি আরবে। ইংলিশ ক্লাব ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন হওয়ার দেড় মাস পরই আনুষ্ঠানিকভাবে দুই বছরের জন্য সৌদি ক্লাব আল নাসেরে যোগ দিয়েছেন সাবেক এই রিয়াল মাদ্রিদ তারকা।

অপরদিকে আল নাসেরে যোগ দেওয়ার পর রোনালদো ভক্ত থেকে ক্লাবের সমর্থকেরা দিন গুনছিলেন-কবে তাকে দেখতে পাবেন এশিয়ার ক্লাব জার্সিতে। সেই অপেক্ষা ফুরিয়েছে আগামীকাল। সিআর-সেভেনকে আল নাসেরের জার্সি গায়ে আনা হয় রিয়াদের এম রাসুল স্টেডিয়ামে।

গতকাল স্পেনের মাদ্রিদ থেকে রিয়াদের কিং খালেদ আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পা রাখেন তিনি। এরপর বাংলাদেশ সময় রাত ১০টায় আল নাসরের হোম ভেন্যু এম রাসুল স্টেডিয়ামে ভক্তদের সামনে রোনালদোকে উপস্থাপন করা হয়। যেখানে একটি চুক্তিপত্রে স্বাক্ষর করেন পর্তুগিজ তারকা। তারপরই ২৫ হাজার দর্শকের সামনে ক্রিস্টিয়ানো রোনালদোকে পরিচয় করিয়ে দেয় আল নাসের।

পর্তুগিজ তারকাকে শেষ এভাবে উপস্থাপন করতে দেখা যায় ২০০৯ সালে। সে বার ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড থেকে রিয়াল মাদ্রিদে পাড়ি জমানোর সময় এমন সংবর্ধনা পেয়েছিলেন তিনি।
নয়বারের লীগ চ্যাম্পিয়ন আল নাসের রোনালদোর সাইনিংকে জানিয়েছে ‘ইতিহাসের চেয়েও বেশি কিছু।’

এখন পর্যন্ত মধ্যপ্রাচ্যের দেশ সৌদি আরবে খেলতে যাওয়া বড় ফুটবল তারকা রোনালদোই। পাঁচবারের ব্যালন ডি’অর জয়ীকে দলে ভেড়াতে বেতন বাবদ আল নাসরের খরচ হবে বছরে ২১ কোটি ডলারেরও বেশি। যা বাংলাদেশি টাকায় রোনালদোর বার্ষিক আয় দাড়াচ্ছে ২২১৩ কোটি ৭ লাখ ৪৩ হাজার ১৬০ টাকা। ক্লাবটির সঙ্গে ২০২৫ সালের জুন পর্যন্ত চুক্তিবদ্ধ হয়েছেন সাবেক রিয়াল তারকা।

পর্তুগিজ তারকাকে পেয়ে আল নাসের ক্লাব ভাসছে উচ্ছ্বাসে। গোটা সৌদি ফুটবলে নতুন জোয়ার। বেড়েছে ক্লাবটির ব্র্যান্ড ভ্যালু। রোনালদোর ৭ নম্বর জার্সি কেনার হিড়িক লেগেছে রিয়াদসহ বিভিন্ন শহরে।

এছাড়া সৌদি আরবের ক্রীড়ামন্ত্রী আবদুল আজিজ বিন তুর্কি বলেছেন, ‘রোনালদোর সৌদিতে আসা এই দেশের ফুটবলকে অন্য মাত্রায় পৌঁছে দেবে। এবার সব ক্লাবই চেষ্টা করবে ইউরোপ, লাতিন আমেরিকার সেরা ফুটবলারদের আনতে।’